নিয়ম-কানুন
ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা ১. পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে সকল কাজ আরম্ভ করবে। ২. মাতা-পিতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও বড়দের শ্রদ্ধা-ভক্তি করবে এবং সালাম দেবে আর ছোটদের স্নেহ করবে। সদা সত্য কথা বলবে এবং সৎ কাজ করবে আর অসত্য ও অন্যায়কে ঘৃণা করবে। অধ্যবসায়ী ও পরিশ্রমী হবে। লক্ষ্য অর্জনে সফলতার জন। মহান আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে। স্কুল ড্রেস (ইউনিফর্ম) পরিধান করে নিয়মিত স্কুলে আসবে। জাতীয় সংগীত, শপথ বাক্য ও সূরা ফাতিহা অর্থসহ শুদ্ধ উচ্চারণে মুখস্থ করবে (মুসলমান ছাত্রী)। কখনো অশালীন, অশ্লীল ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করবে না। ঘন্টা বাজার ৫ (পাঁচ) মিনিটের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয় শিক্ষক/শিক্ষিকা শ্রেণি কক্ষে না আসলে শ্রেণি মনিটর সহকারী প্রধান শিক্ষিকাকে অবশ্যই অবহিত করবে। শ্রেণি কক্ষের ময়লা আবর্জনা, টিফিনের বর্জ্য ইত্যাদি যেখানে সেখানে না ফেলে শ্রেণিতে/শ্রেণির পাশে সংরক্ষিত বাক্সে ফেলবে। সকল ছাত্রী নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলবে। ✓ স্কুলের সম্পদ কেউ নষ্ট করবে না। কোন সম্পদ নষ্ট হতে দেখলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সাথে সাথে জানাবে। স্কুলে উদযাপিত অনুষ্ঠানসমূহে সকল শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে। অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সফল করতে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে। পড়া শিখে ও বাড়ির কাজ করে রীতিমত স্কুলে আসবে। অগ্রিম ছুটি নেয়া ব্যতীত স্কুল ছেড়ে চলে যেতে পারবে না। ✔পরীক্ষার হলে কথা-বার্তা বলা, আসন পরিবর্তন, বইপত্র বা নকলের জন্য লেখা কোন কাগজপত্র আনা, অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা কিংবা অন্য কাউকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা যাবে না। এগুলোর যে কোন একটির জন্যও পরীক্ষা/স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে। নামাযের ঘর, স্কুলের দেয়াল, দরজা, জানালা, ডেস্ক, টয়লেট বা অন্য কোন স্থানে কোন ছাত্রী কিছু লিখবে না। ✔ স্কুল ডায়েরি; পাঠোন্নতি বিবরণী ও বেতন কার্ড-এর কোনো লেখা, নম্বর শিক্ষক শিক্ষিকার মন্তব্য কোন ছাত্রী ঘষামাঝা করলে বা তুলে ফেলার চেষ্টা করলে অথবা শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকের স্বাক্ষর নকল করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন ছাত্রী ভিউ কার্ড, কার্টুনের বই, অশ্লীল ছবি বা বই, ক্যাসেট ও মোবাইল ইত্যাদি বিদ্যালয়ে আনতে পারবে না। কোন ছাত্রীর উপস্থিতি ৭৫% এর কম হলে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। এ ক্ষেত্রে ছাত্রীর উপবৃত্তি বাতিল করা হবে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। কোনরূপ অসদাচরণ বা বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন লঙ্ঘন করলে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দৃশ্যমান হয় এমন স্বর্ণের গয়না পরা যাবে না। আমি/আমরা উপরিউক্ত নির্দেশাবলি যথাযথভাবে মেনে চলতে বাধ্য থাকব।